জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া : ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে রাঙ্গুনিয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি, গাছপালা, বৈদ্যুতিক তার ও খুঁটি বিধ্বস্ত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের শান্তিরহাট বাজার এলাকায় সড়কের উপর গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পড়ায় প্রায় ৩ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক তার ও খুঁটি ভেঙ্গে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছ-পালা বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। চন্দ্রঘোনা, শান্তিরহাট সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে ও খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে পুরা উপজেলা।
শান্তিরহাট ব্যবসায়ী সমিতির মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র ফলে সৃষ্ট তীব্র বাতাসে সকাল ৯টায় শান্তিরহাট বাজারের ইউনিয়ন পরিষদ গেট সংলগ্ন চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে একটি বিশাল গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পড়ে এবং পাশ্ববর্তী আরো ২/৩টি বৈদ্যুতিক খুঁটির তার ছিড়ে যায়। এতে সড়কে প্রায় ৩ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানয়ীরা গাছ কেটে ঠুকরো করে সরিয়ে নেয়ার পর দুপুর ১২টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
লালানগর ইউনিয়নের আলমশাহ পাড়া এলাকার ব্যবসায়ী সোহেল বিন জাবের বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে আলমশাহ পাড়ায় আবুল কালাম সওদাগরের মালিকানাধীন বন্ধু ডেকোরেটার্স নামে একটি দোকান বাতাসে ভেঙ্গে পড়েছে। এছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন কাচা ঘড়বাড়ি ও গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এভাবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার বিধ্বস্ত হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। বৈদ্যুতিক সংযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছে সাধারণরা।
রাঙ্গুনিয়ায় পল্লী বিদ্যুতের এজিএম বেলাল হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র ফলে রাঙ্গুনিয়ায় ৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ও অন্তত ২৫ স্থানে বৈদ্যুতিক তার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩ কেভি লাইনেও। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যু সংযোগ স্বাভাবিক করতে সকাল ১১টা থেকে কাজ শুরু করা হয়েছে। ৩৩ কেভি লাইন চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি করা গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে।